বাগেরহাটে করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে প্রথম দিনের লকডাউন চলছে। লকডাউন বাস্তবায়ন করতে জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, স্বাস্থ্য বিভাগ ও স্থানীয় সেচ্ছসেবকরা কাজ করছে।
বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা থেকে জেলার ৯টি উপজেলার সর্বত্রই সাত দিনের লকডাউন শুরু হয়েছে।
সংশ্লিষ্টরা জানান, লকডাউনে আন্তজেলা ও উপজেলা গণপরিবহন বন্ধ রয়েছে। জেলার প্রবেশদারে বসানো হয়েছে পুলিশি চেকপোস্ট। সাপ্তাহিক হাট ও পশুর হাট বন্ধ রাখা হয়েছে। নির্বাহী ম্যাজিস্টেট দিয়ে চলছে ভ্রম্যমাণ আদালত। একই সাথে পুলিশি টহল চলছে।
আরও পড়ুন: বগুড়ায় করোনায় রেকর্ড সংখ্যক মৃত্যু ৮
সরেজমিনে দেখা গেছে, বাগেরহাটের অধিকাংশ রাস্তাঘাট ফাঁকাসহ দোকানপাট বন্ধ রয়েছে। অতি জরুরি প্রয়োজন ছাড়া মানুষ ঘর থেকে বের হয়নি। বাসস্ট্যান্ড, দশানী, সাধনার মোড়, ট্রাফিকমোড়সহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় পুলিশি চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। তবে লকডাউনের কারণে দিনমজুর ও হতদরিদ্র মানুষেরা বিপাকে পড়েছেন।
এবিষয়ে জেলা প্রশাসক মো. আজিজুর রহমান জানান, বিধি নিষেধ ভঙ্গ করলে কঠোরভাবে আইন প্রয়োগ করা হবে।
তিনি জানান, করোনা সংক্রমণ রোধ করতে জেলায় সাতদিনের জন্য কঠোর বিধিনিষেধ জারি করা হয়েছে। জেলা এবং উপজেলা প্রশাসন কঠোরভাবে দায়িত্ব পালন করছে। কোন অবস্থাতেই বিধিনিষেধ ভঙ্গ করতে দেয়া হবে না।
বাগেরহাটের পুলিশ সুপার কেএম আরিফুল হক জানান, জেলার প্রবেশদারগুলোতে পুলিশি চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। অতিজরুরি প্রয়োজন ছাড়া কাউকে প্রবেশ ও বাহির হতে দেয়া হচ্ছে না। বিভিন্ন এলাকা এবং সড়ক ও মহাসড়কে পুলিশ টহল দিচ্ছে। জারি করা বিধিনিষেধ বাস্তবায়নে পুলিশ কাজ করছে।
বাগেরহাটে ক্রমশ করোনা সংক্রমণ বাড়তে থাকায় বৃহস্পতিবার সকাল থেকে আগামী ৩০ জুন রাত ১২টা পর্যন্ত বাগেরহাট সদর, কচুয়া, চিতলমারী, ফকিরহাট, মোল্লাহাট, রামপাল, মোংলা, মোড়েলগঞ্জ ও শরণখোলা উপজেলার সর্বত্রই লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: রামেকে করোনায় একদিনের রেকর্ড মৃত্যু ১৮
এদিকে বাগেরহাটে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আরও ৪২ জনসহ জেলায় মোট করোনা রোগী শনাক্তের সংখ্যা ২৭৯৩ জন। জেলায় এ পর্যন্ত করোনায় ৭৩ জন মারা গেছেন এবং সুস্থ হয়েছেন ১,৮৪৩ জন।
বাগেরহাটের সিভিল সার্জন ডা. কেএম হুমায়ুন কবির জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় বাগেরহাটে ১২২ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৪২ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ৩৪ শতাংশ। লকডাউন বাস্তাবায়ন করা গেলে দ্রুত সংক্রমণ কমে আসবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।